জেনে নিন কেন সরস্বতী পূজোর আগে কুল বা বড়ই খেতে নেই!

জেনে নিন কেন সরস্বতী পূজোর আগে কুল বা বড়ই খেতে নেই!



মাঘের হাওয়া গায়ে লাগা মানেই কেমন যেন পুজো পুজো গন্ধ। ১ বছরের অপেক্ষা শেষে বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে কাছে পাওয়া। এক দিনের জন্য লেখাপড়ার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি। আর অঞ্জলি দিয়েই মুখ ভর্তি টোপা কুল বা নারকেল কুলের রূপ-রস-স্বাদ-গন্ধ-বর্ণটুকু নিংড়ে নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ। মাঘের শেষ হলেই যে আর কুল খাওয়া যাবে না। সরস্বতী ঠাকুর নইলে রাগ করবেন! আর তিনি রাগ করলে পরীক্ষায় পাশ করা বা ভালো ফল করা হয়ে উঠবে মুশকিল। তা সে যে যতই মেধাবী হোক না কেন। আবার পুজোর আগেও বিন্দুমাত্র দাঁতে কাটা যাবে না কুল। পড়ুয়াদের জীবনে লোভনীয় এই ফলের বরাদ্দ কেবল মাঘ মাসটুকুতেই। লোভে রসনার জল শুকিয়ে গেলেও হাত পা বাঁধা। যুগ যুগ ধরে এমন মনখারাপ করা রীতির কথাই আমরা শুনে আসছি অভিভাবকদের কাছ থেকে। খারাপ ফলাফলের ভয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই সেই গতানুগতিক নিয়ম মেনে চলতে বাধ্যও হয় পড়ুয়ারা। সরস্বতী পুজোর আগে বাজার জমিয়ে ক্রেতাদের হাতছানি দেয় টোপা, বিলাতি, নারকেল কুলের সম্ভার। তবুও কাছে পেয়েও তাদের আপন করার উপায় থাকে না। আসুন জেনে নিই তার কারণটা।