জেনে নিন রথযাত্রার ইতিহাস ও অজানা কিছু কথা || হিন্দু ধর্মের অজানা রহস্য ||
প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভারত, বাংলাদেশ-সহ বিশ্বের অনেক দেশে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব সাড়ম্বরে পালন করা হয়। রথে থাকেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার খর্বাকৃতি মূর্তি। ভক্তবৃন্দ ভক্তিপূর্ণ চিত্তে রথের দড়িতে টান দিয়ে রথকে এগিয়ে নিয়ে যান।
শাস্ত্রে আছে‘রথস্থ বাম নং দৃষ্টা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে।’রথের উপরে খর্বাকৃতি বামন জগন্নাথকে দর্শন করলে তার পুনর্জন্ম হয় না। তাই রথের দড়ি ধরে রথ টানা মহাপুণ্য কর্ম বলে সনাতন ধর্মে স্বীকৃতি লাভ করেছে। প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’ও‘পদ্মপুরাণে’ও এই রথযাত্রার উল্লেখ পাওয়া যায়। রথযাত্রার মূলে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যাপক প্রভাব। কালের পরিক্রমায় হিন্দু সভ্যতার উত্থানকালে এ রথযাত্রা 'শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা' হিসেবে বিবর্তিত হয়েছে। ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ ধামের রথযাত্রা জগদ্বিখ্যাত।‘পুরুষোত্তম ক্ষেত্র’বা ‘শ্রীক্ষেত্র’বলতে পুরীকেই বোঝায়। জ্যৈষ্ঠে স্নান-যাত্রায় ও আষাঢ়ে রথের সময় বিশেষ জাঁকজমকের সঙ্গে পূজিত হন। চৈতন্য মহাপ্রভুই মূলত নীলাচলে ভক্তিবাদের প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের অবতার। তাঁর প্রেম, ভক্তি 'সবার উপরে মানুষ সত্য' - এসব মূলমন্ত্রই তাঁর জীবন-দর্শন। মহাপ্রভুর জীবন-দর্শন শ্রী জগন্নাথের জীবন-দর্শন মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। তাই পুরীকে বলা হয় বৈষ্ণবের ধাম।